স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের মাইলফলকে অবস্থান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক ঘোষিত রূপকল্প অনুযায়ী ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে রপ্তানি অনুবিভাগ গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
দ্রুত পরিবর্তনশীল ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল ও বহুমুখী করে তোলা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অনুবিভাগ এর মূল কাজ। রপ্তানি নীতি প্রণয়ন, বিদেশে বাণিজ্য প্রতিনিধি প্রেরণ, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন, আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ, পণ্য বহুমুখীকরণ, রপ্তানিযোগ্য পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার প্রভৃতি অর্জনের লক্ষ্যে ও বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণের জন্য Branding Bangladesh কে সামনে রেখে এ অনুবিভাগ থেকে বিভিন্ন বাস্তবধর্মী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
রপ্তানি অনুবিভাগের কার্যাবলি: |
|
রপ্তানি অনুবিভাগ কর্তৃক ‘মুজিব বর্ষ’ ও ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম: |
(১) প্রথম জাতীয় চা দিবস উদযাপন: ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, চা শিল্পের প্রসার’ শ্লোগান নিয়ে ০৪ জুন, ২০২১ তারিখে ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে ৪ জুন ১৯৫৭ হতে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, চা শিল্পে তাঁর অবদানকে অবিস্মরণীয় করে রাখা এবং চা শিল্পের গুরুত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার কর্তৃক প্রতি বছর জাতীয় চা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি এমপি উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এবং জনাব ইমরান আহমদ এমপি মাননীয় মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। এ উপলক্ষে ০৬/০৬/২০২১ তারিখ সকাল ১১.০০ ঘটিকায় জুম এ্যাপের মাধ্যমে “বাংলাদেশের চা শিল্প: সমস্যা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে উৎপাদিত চা বিদেশে ব্রান্ডিং এর জন্য উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। (২) বঙ্গবন্ধু রপ্তানি ট্রফি: জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী ইতোপূর্বে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারককে “জাতীয় রপ্তানি ট্রফি” প্রদান করা হতো। মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারককে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি” প্রদান করা হবে। (৩) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কনফারেন্স’ আয়োজনের কার্যক্রম চলমান আছে।
|
রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সাম্প্রতিক গৃহীত উদ্যোগ ও অর্জন: |
|